এসডিজি বাস্তবায়নে খাদ্যশস্যের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে হবে। এটি একটি চ্যালেন্স। তবে অসম্ভব নয়। অতিরিক্ত এ ফলন আমন ও আউশের মাধ্যমেই হতে পারে। এ বছরে আউশধানের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৪০ লাখ মে. টন। ভবিষ্যতে আরো বাড়ানোর দরকার হবে। লক্ষমাত্রা যেহেতু আপনারাই করেছেন, বাস্তবায়ন আপনাদেরই করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ফলোআপ কার্যক্রম জোরদারকরণ। আজ (৬এপ্রিল) বরিশাল নগরীর সাগরদিস্থ ব্রি সম্মেলনকক্ষে ‘বরিশাল অঞ্চলে আউশ ধানের আবাদ বৃদ্ধি’ শীর্ষক দিনব্যাপি এক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সচিব জনাব মো. নাসিরুজ্জামান কৃষি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের বাণিজ্যিক কৃষিতে যেতে হবে। তবে ধান চাষে নির্দিষ্ট মাত্রায় না রেখে নয়। মাননীয় সচিব আরো বলেন, ক্ষুধা নির্মূলের লক্ষ অর্জন করতে প্রয়োজন পুষ্টিমান খাবারের নিশ্চয়তা দেয়া। আর আমরা তা পারব অবশ্যই।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) যৌথ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রির মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক মীর নূরুল আলম, বিনার মহাপরিচালক ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী এবং বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) মহাপরিচালক ড. মো. আমজাদ হোসেন। ব্রির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই; বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইনুর আজম খান, ব্রি’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন, বিনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবুল কালাম আজাদ, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ গোলাম মো. ইদ্রিস, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, ডিএই; বরিশালের উপপরিচালক হরিদাস শিকারী, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম পরিচালক ড. মো. মিজানুর রহমান, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ছাব্বির হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কৃষকসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেড়শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।